জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রুল জারি করেন।
রুলে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১ (১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ২৬ (১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
পড়ুন>> আব্বাসের প্লট বরাদ্দের দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত
চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালায়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব এবং জাতীয় সংসদের স্পিকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয়, ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে।
আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে। ’
পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন ৪১(১) ধারায় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে আজ আদালত রুল জারি করেছেন।
তিনি বলেন, একই ধরনের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা প্রণয়ন করলে জনস্বার্থে রিট করলে আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করেন। একই সুযোগ সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে প্রণীত উক্ত আইনের ৪১ (১) ধারা আদালতের রায়ের পরিপন্থি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
ইএস/এমএ