খুলনা বিভাগীয় আইনজীবী সমিতি, ঢাকার কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ ম রেজাউল করিম বলেন, নুসরাতের বর্বরোচিত ঘটনা যখন ঘটে তখন কিন্তু মনে হয় যে আদিম অসভ্য জায়গা থেকে ফিরিয়ে আসছি নাকি সাপলুড়ু খেলার মতো আবার সেই পিছনের জায়গায় আমরা ফিরে গেছি।
পড়ুন>>নুসরাত হত্যায় অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ জনের ফাঁসি
‘তারপরও আইনজীবীরা বিশাল ভূমিকা পালন করেছেন। নুসরাতের নির্মম হত্যাকাণ্ডে আইনজীবীরা সেখানে পারিতোষিক নেননি বাদী পক্ষে যারা ছিলেন। সেক্ষেত্রে তাদের একটা গৌরবময় ভূমিকা পালন করেছেন তারা। ’
এ মামলার বিচার প্রক্রিয়ার বিষয়ে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইনের শাসনের ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। এত দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত সম্পন্ন করা বিচার শেষ হওয়া এবং প্রত্যাশিত দণ্ড আরোপ করার সুযোগ আইনি প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনজীবীদের ও আইন অঙ্গনে বিচার ব্যবস্থার একটা উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।
অতীতের কথা উল্লেখ শ ম রেজাউল করিম বলেন, একটা সময় ছিলো দায়মুক্তির সংস্কৃতিতে অধপতিত ছিলাম আমরা। যেখানে বলতে চাই প্রায়ই, যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটেছিলো। সে জায়গা থেকে আমরা বেরিয়ে আসছি।
‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা দাম্ভিকতার সঙ্গে বলতে পারে না যে, আমরা অপরাধ করেছি, আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন, বিশ্বজিত খুন ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার একজন সংসদ সদস্যের দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড হয়েছে। তার মামলা প্রত্যাহার হয়নি।
চলমান শুদ্ধি অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা দল থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছেন। গ্রেফতার হচ্ছেন, রিমান্ডের মুখোমুখি হচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী কে তার দলের লোক কে তার আত্মীয় কে কতটা প্রভাবশালী তা তিনি দেখছেন না। গণভবনে অনেককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন।
‘আমাদের মধ্যেও অনেকে আতঙ্কিত। না জানি কালকে সকালে কার কার উপর নোটিশ আসে। আমি মনে করি এটা সময়ের চাহিদা এবং বাস্তবতায় হওয়া উচিত। আমি ক্ষমতাসীন দল করলে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থাকবো এটা হতে পারে না। ’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
ইএস/এমএ