ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নির্বিঘ্নে আত্মসমর্পণ করতে সময় পেলেন ড. ইউনূস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
নির্বিঘ্নে আত্মসমর্পণ করতে সময় পেলেন ড. ইউনূস ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকা: তিন মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মসমর্পণের জন্য হাইকোর্ট থেকে সময় পেয়েছেন। ঢাকা বা চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া যাতে নির্বিঘ্নে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন এজন্য ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছেন তিনি।

তার ভাইয়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তিনজন লোক তিনজনের বিরুদ্ধে লেবার কোর্টে তিনটি মামলা করেছে। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে ওনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। যখন মামলাটা ফাইল হয় তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।  

‘গ্রেফতারি পরোয়ানার সময়ও তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। এখন ইউনূস সাহেব এয়ারপোর্টে এলে গ্রেফতার হতে পারেন। সেটার জন্য ওনার ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম একটি রিট পিটিশন করেছেন। আবেদনে তিনি বলেনছেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশিষ্ট নাগরিক। নোবেল বিজয়ী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। ওনার আদালত থেকে লুকিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। উনি এখানে এসে আদালতে যাবেন। এয়ারপোর্টে এসে উনি যেন ফ্রিলি আদালতে যেতে পারেন। আদালত আদেশ দিয়েছেন উনি দেশে এসে ফ্রিলি কোর্টে যেতে পারবেন। ওনাকে কেউ হয়রানি করবে না। ইউনূস সাহেব ৭ নভেম্বরের মধ্যে কোর্টে হাজির হবেন। ’

গত ৯ অক্টোবর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার তিন নম্বর শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম।
 
গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।

মামলার বাদীরা হলেন প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য এরমানুল হক।

এরপর আদালত সমন জারি করেন। সমনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।

তবে ড. ইউনূস এদিন আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে আইনজীবী রাজু আহম্মেদ আদালতকে জানান, তিনি ব্যবসায়িক কাজে বিদেশে অবস্থান করছেন। দেশে এলে আদালতে উপস্থিত হবেন। তবে ওই আইনজীবী মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত পাওয়ার দেখাতে পারেননি। এ অবস্থায় আদালত তার বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, শ্রমিক হিসেবে নিজেদের সংগঠিত হওয়া ও নিজেদের কল্যাণের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা। ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল ট্রেড ইউনিয়নটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য মহাপরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নে আবেদন করলে ৯ জুন তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে ইউনিয়ন গঠনের খবর জানার পর তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।  

ইউনিয়ন গঠনের কারণে চাকরিচ্যুত করায় শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৯৫ (ঘ) ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। তাই বাদীরা শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ শ্রম আইন ৩১৩ ধারার তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ও ইউনিয়ন গঠন এবং তার কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য এ মামলা করেন।

২৫৬টি তথ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র এ আইটি সেবা দেয় গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।