সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে সেতুকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারে মাহমুদ সেতুর নাম উল্লেখ নেই। তবে, আগে গ্রেফতার ব্যক্তিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণে হত্যাকাণ্ডে সেতুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, এস এম মাহমুদ সেতু বুয়েটের ১৪ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১২ রুমে বসবাস করতেন ও মানিকগঞ্জের একটি ওষুধ কোম্পানিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত ৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্রসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
কেআই/জেডএস