মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারেকের আদালত থেকে তা হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
ফেনী জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর ও মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহমেদ বলেন, ‘আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠানোর হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, ৩৭৪ ধারায় বলা হয়েছে, দায়রা আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন, তখন হাইকোর্ট বিভাগের কাছে কার্যক্রম পেশ করতে হবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ অনুমোদন না করা পর্যন্ত দণ্ড কার্যকর করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘নুসরাত হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- এ সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে পড়েছি। ’
তিনি বলেন, ‘খবরে পড়েছি, নুসরাত হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স প্রস্তুত হলে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়ে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। মামলা নিষ্পত্তিতে যাতে কম সময় লাগে, সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আমি কথা বলবো। তার এমন উদ্যোগী ভূমিকায় মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আশাবাদী হয়েছি। ’
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এসএইচডি/এমএ