নাইমুলের বাবা মজিবুর রহমানের দায়ের করা একটি মামলার নথি পর্যালোচনার পর বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
মজিবুর রহমান বাদী হয়ে প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং কিশোর আলোর প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
নাইমুলের মৃত্যুর ঘটনায় যে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে, সেই মামলাকে বর্তমান মামলার সঙ্গে একীভূত করে তদন্ত করে আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
গত ১ নভেম্বর বিকেলে মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আবরার। এরপর আয়োজকরা তাকে উদ্ধার করে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরার ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির দিবা শাখার শিক্ষার্থী ছিল। আবাসিক এ শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী।
নাইমুল আবরারের মৃত্যুর খবরে সেদিনের অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ২ নভেম্বর ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা সেখান থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ প্রদানসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেন। অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত বক্তব্য দিতে হবে, গাফিলতির বিষয়টি স্বীকার করে পত্রিকায় বিবৃতি দিতে হবে এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে হবে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যেই সেদিন ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম আহমেদ বলেন, কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
কেআই/এইচএ/
** নাইমুলের মৃত্যু: প্রথম আলো সম্পাদকের নামে মামলা