বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে বুধবার (০৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন সুদীপ দাস।
আবেদনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ১৬ (ঝ) অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংরক্ষিত অধিকার সুরক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অনুষ্ঠেয় ১৩তম জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা অথবা সব ধরনের পরীক্ষায় আবেদনকারীকে শ্রুতি লেখক দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, মর্মে রুল জারির আর্জি জনানো হয়েছে।
এতে বিবাদী করা হয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সুপ্রিম কার্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন সচিব ও সমাজ কল্যাণ সচিবকে ।
তার আইনজীবী কুমার দেবুল দে সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ডিগ্রি নেওয়া সুদীপ দাস এর আগেও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ১১ ও ১২তম পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিলেন। তবে প্রথমবার ২০১৭ সালে শ্রুতি লেখকের সুযোগ না পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেননি।
‘আর ২০১৮ সালে আবেদন করে শ্রুতি লেখক না পেলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাদা কাগজ জমা দিয়ে এসেছিলেন। চলতি বছরের পরীক্ষাতে শ্রুতি লেখক চেয়ে গত ৫ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তাই তিনি রিট করেছেন। ’
রিটের পর আদালতে উপস্থাপন করলে বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকতে পারে বলে জানান কুমার দেবুল দে।
সুদীপ দাস বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের শ্রুতি লেখক দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেএসসি-এর পরীক্ষায় তা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া বিভিন্ন দেশে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিচারক রয়েছেন। যেমন ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমেরিকাতেও আছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি সহকারী জজ হওয়ার ইচ্ছা থেকে এ চেষ্টা করছি। তারপরও আমি যদি নাও পাই আমার অনুজেরা এ সুযোগ পাবে বলে আশা করছি।
২০০৭ সালে সুদীপ দাস এসএসসি ও ২০০৯ সালে এইচএসসি পাসে করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
ইএস/এমএ