এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
ফলে আসককে কার্যালয় ছাড়তে হচ্ছে না।
আদালতে আসকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত আসককে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই মাসের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরদিন ১৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করে আসক।
ওই সংবাদ সম্মেলনে আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আসক কার্যালয় ভবন মালিকের রাজউকের নকশাবহির্ভূত গ্যারেজের অংশে অভিযান চালান ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার আসক কার্যালয়ে এসে আবাসিক এলাকায় অফিস পরিচালনার কারণ জানতে চান। আসকের পক্ষ থেকে সব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয় এবং জানানো হয়, ভাড়াটিয়া হিসেবে সব শর্ত মেনেই আসক অফিস পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে আসকের একটিই কার্যালয় এবং এখানে শুধু দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আসক কোনো ধরনের আর্থিক কিংবা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে না। বাংলাদেশ এনজিও ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নিয়েই আসক দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে।
সবকিছু জানানোর পরেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ এর ৩(ক) ধারা মতে, আসককে আগামী দুই মাসের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনার পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। অথচ আইনের ওই ধারাটি ভবন মালিক, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আসক শুধু ভাড়াটে হিসেবে ভবনটি ব্যবহার করছে। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়গুলো আমলে না নিয়ে জরিমানা বহাল রাখেন এবং জরিমানা আদায় করেন।
এরপর আসক হাইকোর্টে রিট করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
ইএস/এমএ