রোববার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কিরণ শংকর হালদার এ রায় দেন।
এ সময় মামলার আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহিন নিকলী উপজেলার ভাটি বরাটিয়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের শেখ নবীনপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করতেন ফাইজুল ইসলামের মেয়ে সুজেনার স্বামী শাহিন। একই ঘরের অপর কক্ষে থাকতো সুজনার ছোট বোন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসাছাত্রী রোকসানা। ২০১৭ সালের ১১ মে গভীর রাতে শাহিন তার শালিকা রোকসানাকে ঘরের বাইরে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে রাতেই বসতঘরের পাশের একটি পাটক্ষেত থেকে রোকসানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা ফাইজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ মে শাহিনকে আসামি করে নিকলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার দুপুরে এ রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) অ্যাডভোকেট এম এ আফজল ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এএটি