ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জয়পুরহাটে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামী কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৯
জয়পুরহাটে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামী কারাগারে

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. বিভাস কুমার শর্মাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল বাহার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিভাস কুমার শর্মা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর শহরের ব্রজ গোপাল শর্মার ছেলে ও নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার।

 

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ জুলাই হিন্দু বিবাহ আইনে তৎকালীন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার বিভাসের সঙ্গে বিয়ে হয় জয়পুরহাটের সবুজ নগর মহল্লার বাসিন্দা জয়পুরহাট সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা চৈতী রায়ের। বিবাহ বাবদ উপঢৌকন হিসেবে মেয়ের বাবা জামাইকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার, ব্যাংকে ডিডি মূল্যে নগদ পাঁচ লাখ টাকা, চেক মূল্যে দু’লাখ টাকাসহ ঘর সাজানো বাবদ ফার্নিচার দিলে তারা সংসার করতে থাকেন।  

কিন্তু এরই মাঝে আবারো নগদে ১০ লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য চৈতীকে বার বার চাপ দিতে এবং এক সময় একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালাতে থাকেন ডা. বিভাস। এক সময় বিভাস চৈতীর সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে চলে যান। এসময় বিভাসের পরিবারের সদস্যরা তার কোনো ধরণের খোঁজখবর দেননি।

সম্প্রতি বিভাস রাজশাহীর বাঘা পারিবারিক আদালতে চৈতীর বিরুদ্ধে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করলে দুই পরিবারের লোকজন সমঝোতায় বসেন। পরে বিভাস ১০ লাখ টাকা দাবিতে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষনা দিলে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর চৈতী রায় বাদি হয়ে জয়পুরহাটের (ক) অঞ্চল আমলী আদালতে অপর একটি মামলা দায়ের করেন।  

মামলায় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ডা. বিভাস স্বশরীরে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।  

মামলাটির আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সুলতান মোল্লা ও বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট হেনা কবির।

এর আগে ০২ ডিসেম্বর স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের একটি মামলায় বগুড়ার পুলিশ সার্জেন্ট তরিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ 
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।