পরিবারের পক্ষ থেকে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু, আইনজীবী মো. জহিরুল ইসলাম।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় তিশা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয়জনসহ মোট ৮জন নিহত হয়েছেন।
গত ১৮ আগস্ট বেলা পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার বাগমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কুমিল্লার গোয়ালপট্টি এলাকার বন্দন হোটেলের মালিক ও কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঘোড়া ময়দান গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন (৪৫), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪০), জসিমের শাশুড়ি সকিনা বেগম (৭০), জসিমের বড় ছেলে শিপন (১৭), দ্বিতীয় ছেলে হৃদয় (১৫), মেয়ে নিপু আক্তার (১৩), নাঙ্গলকোট উপজেলার ঘোড়া ময়দান গ্রামের শাইমুন হোসেন (১৫) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জামাল হোসেন (৩৫)। জামাল নাঙ্গলকোট উপজেলার করপতি ব্যাপারী বাড়ির মৃত জিতু মিয়ার ছেলে।
ওইদিন কুমিল্লার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লা দক্ষিণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, তিশা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা থেকে কুমিল্লার লাকসামে যাওয়ার পথে বাগমারা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কুমিল্লাগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি হয়।
এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পেছনে থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
ইএস/এমএ