জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের পর নিজ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এমন মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিবরণী উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন নিম্ন আদালত।
‘আদালত তার আইনজীবী, রাষ্ট্রপক্ষ এবং দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন খারিজ করেছেন। তবে খালেদা জিয়া যদি রাজি থাকেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তার অ্যাডভান্সড চিকিৎসার জন্য। এটা ওনার (খালেদা জিয়া) অনুমতি সাপেক্ষে। ’
মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, যেই রিপোর্টগুলো আগেও দাখিল করা হয়েছিল। গতকালও যেটা দাখিল করা হয়েছে সেটাও পড়ে শোনানো হয়েছে। তাতে আমরা দেখিয়েছি, আসলে তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো অবনতি হয়নি। যেভাবে ছিল, সেরকমই আছে।
গতকালের দেওয়া প্রতিবেদনে কী আছে? এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সর্বশেষ রিপোর্টে বলা রয়েছে- তার দুটো হাঁটু রিপ্লেসমেন্ট করা হয়েছে। একটা ১৯৯৭ সালে, আরেকটা ২০০২ সালে। স্বাভাকিভাবে এতো দিন পরে রিপ্লেসমেন্টের কার্যকারিতা থাকে না। সেই ক্ষেত্রে এটার অ্যাডভান্স চিকিৎসা নিতে হয়। কতগুলো বিশেষ ধরনের ইনজেকশন রয়েছে, সেই ইনজেকশন নেওয়ার ব্যাপারে তার অনুমতি না পাওয়া গেলে তা দেওয়া যাবে না। উনি (খালেদা জিয়া) অনুমতি দিচ্ছেন না। আদালত বলেছেন, উনি যদি অনুমতি দেন তাহলে সে চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেন করে। ’
আদালতে শুনানির বিষয়ে উল্লেখ করে মাহবুবে আলম বলেন, শুনানিতে বলেছি, এর আগে একটি মামলায় উনাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মোট তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে ১৭ বছর । কাজেই এটাকে বলা যাবে না, এটা শর্ট সেন্টেন্স (সংক্ষিপ্ত সাজা)। সুতরাং এখানে তিনি জামিন পেতে পারেন না। চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার থেকে সর্বাত্মক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে বঙ্গবন্ধু প্রিজন সেলে রাখার কথা, কিন্তু তাকে ভিআইপি কেবিনে রাখা হয়েছে। উনাকে সেবা দান করার জন্য একজন সেবিকা দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উনাকে দেখভাল করছেন। কিন্তু উনার অনুমতি না হলে অ্যাডভান্স চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়:১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
ইএস/এসএইচ