সোমবার (০৬ জানুয়ারি) সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
অভিযোগ গঠনের পর বিচারক আগামী ৯ মার্চ (সোমবার) মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মিরাজ হোসেন (২১), রাজধানীর নয়াপল্টনের মির্জা আমিনুর রহমান (৫৫) ও মোহাম্মদপুরের মারুফ আহম্মেদ (৪৬)।
গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে খিলাফত প্রতিষ্ঠাকল্পে লিফলেট বিলি এবং রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী পুস্তক নিজেদের হেফাজতে রাখার দায়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় এই অভিযোগ গঠন হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার জাকির জানান, মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে দুইজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন। অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- মনিরুজ্জামান ও মহিউদ্দিন ফারুক।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, তারা ২০১৮ সালের প্রথমদিকে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর ও শেওড়াপাড়া এলাকায় হিযবুত তাহরীরের লিফলেট বিলি করে আসছিলেন।
ওই বছরের ১৮ এপ্রিলে বাদী পুলিশ পরিদশর্ক র্যাব-৪ এর ডিএডি মুকুল হোসেন কাফরুল এলাকায় দায়িত্বপালনকালে জানতে পারেন যে, ৫৩৩/১ উত্তর ইব্রাহীমপুরের ক্ষণিকের বিলাস নামের বাড়িতে হিযবুত তাহরীরের কয়েকজন সদস্য ও নেতাকর্মী অবস্থান করছেন।
খবর পেয়ে ওই বাড়ির ষষ্ঠতলায় অভিযান চালিয়ে আসামি মিরাজ হোসেনকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে মামলার আলামত লিফলেট, পুস্তিকা জব্দ করা হয়।
তার দেওয়া তথ্য মতে মিরপুর, রূপনগর, ধানমন্ডি এলাকা থেকে অপর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের হিযবুত তাহরীরের সদস্য বলে জানায়।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং গত বছরের ১৬ মার্চ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
কেআই/জেডএস