মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শামীম আহাম্মাদ এ রায় দেন।
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় আলাদা দুটি মামলা করে দুদক।
তারা ওই বছর ১১ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান। ওই দুই মামলার তদন্ত চলার মধ্যেই রফিকুল আমিনের ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১৬ সালের ১৬ জুন নোটিশ দেয় দুদক।
নির্ধারিত সময়ে সম্পদের তথ্য বিবরণী না দেওয়ায় ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক।
এরপর ২০১৭ সালের ৬ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একই বছরের ১২ মার্চ অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় রফিকুল আমিনের বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে রফিকুল আমিন উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েও বিচার আটকাতে পারেননি।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় মোট ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচার কাজ শেষ হয়। রফিকুল আমিনের বিরুদ্ধে দুদকের অন্য দুটি মামলাও সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে।
বাংলদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
কেআই/