সোমবার (০২ মার্চ) সকালে তিনি এ আবেদন করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের সামগ্রিক ফল বাতিল চাওয়া হয়েছে।
তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বারের নবনির্বাচিত সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, উত্তর সিটি নির্বাচনে কারচুপির পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের আবেদন করেছি। ট্রাইব্যুনাল নথি পর্যালোচনায় আদেশ দেবেন।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে আবেদন করতে হবে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরে ও ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করেছে। এরইমধ্যে দুই মেয়র শপথও নিয়েছেন।
মামলার পর পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবেন ট্রাইব্যুনাল। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায়ে খুশি না হলে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে’ যেতে পারবেন। নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করবেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ঢাকার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ১ম আদালতকে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে। আপিল আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চেয়ারম্যান এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
কেআই/জেডএস