বুধবার (১১ মার্চ) বাদীপক্ষে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) নিযুক্ত আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে এ নারাজি আবেদনটি দাখিল করেন।
নারাজি আবেদনে বলা হয়েছে, বেপরোয়া যান চলাচলের মাধ্যমে ফৌজদারী কার্যবিধির ৩০৪ এর (খ) ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস জানান, নারাজি আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। পরবর্তী তারিখে বাদীর জবানবন্দি নেওয়ার পর আদালত আদেশ দেবেন।
এ ঘটনায় হওয়া মামলায় গত ডিসেম্বরে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক ইদ্রিস মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন) চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের চালক খুরশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। এ দুজনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া বাস চালনোর মাধ্যমে অবহেলা জনিত মৃত্যুর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সেই অনুযায়ীই অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্রটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়ার আদালতে এ অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হলে শুনানির জন্য ১১ মার্চ দিন রেখেছিলেন।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে সার্ক ফোয়ারার কাছে এ ঘটনা ঘটে। বেলা দেড়টার দিকে বাংলামোটরের দিক থেকে ফার্মগেটগামী একটি দোতলা বিআরটিসি বাস সার্ক ফোয়ারার কাছে পান্থকুঞ্জের পাশে সিগনালে থেমে ছিল। একই দিক থেকে আসা স্বজন পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে দোতলা বাসের পাশের ফাঁকা দিয়ে ঢুকে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে রাজিবের ডান হাত দোতলা বাসের সঙ্গে লেগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাতটি দোতালা বাসের সঙ্গে লেগে ঝুলছিল।
পরে আহত রাজীবকে দ্রুত শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তার চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই বছরের ১৬ এপ্রিল রাতে রাজীব মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
কেআই/ওএইচ/