ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ভাণ্ডারিয়ায় হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন, ২ জনের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
ভাণ্ডারিয়ায় হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন, ২ জনের কারাদণ্ড প্রতীকী

পিরোজপুর: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় শাকিল হত্যা মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন ও দু’জনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার করে টাকা জরিমানাও করা হয়।

 

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।   

নিহত সাকিল (২০) জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভাণ্ডারিয়া সদর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার মঠবড়িয়া উপজেলার হোগলপাতি গ্রামের সোহেল রানা (২০), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর গ্রামের মিলন ঘরামী (২০),  একই উপজেলার ঘুটাপাছা গ্রামের মাসুম বিল্লাহ (৩০) ও আল-আমিন (২০)।

এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-পাথরঘাটা উপজেলরা ঘুটাপাছা গ্রামের হিরু হাওলাদার (৩০) ও একই উপজেলার ছোট পাথরঘাটা গ্রামের লিটন চৌকিদার (২৪)। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল, হিরু হাওলাদার ও লিটন চৌকিদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন জন  পলাতক রয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খান মো. আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালের ০৯ মার্চ রাতে মোবাইলে ফোন করে বাড়ি থেকে শাকিলকে ডাকেন নিয়ে যান সোহেল, মিলন, মাসুম ও আল-আমিন। পরে শাকিল মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেওয়া জন্য শাকিলকে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার শিংখালী গ্রামের একটি ধানক্ষেতে নিয়ে যান আসামিরা। সেখানে মোটরসাইকেলের ক্লাসের তার খুলে শাকিলের গলায় পেঁচ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ সেখানেই ফেলে পালিয়ে যান ওই ঘাতকরা।

এ ঘটনায় পরে মরদেহ উদ্ধার হলে শাকিলের মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ১০ মার্চ ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার চার জনের যাবজ্জীবন ও দু’জনের কারাদণ্ড দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।