ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রেনু হত্যা: আসামি মহিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২১
রেনু হত্যা: আসামি মহিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

ঢাকা: ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় স্কুলের বাইরে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলার পলাতক আসামি মহিন উদ্দিনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (০৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামনুর রশীদ এ আদেশ দেন।

গত ২ ডিসেম্বর মহিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য ছিল। তবে পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করতে না পারায় আদালত রোববার তার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিলেন। ক্রোকের আদেশ তামিল বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।  

গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক আব্দুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে মোট ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামিরা হলেন-ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন।

আসামিদের মধ্যে ওয়াসিম, হৃদয় এবং রিয়া বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  

আসামি মহিন উদ্দিন পলাতক। আর রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

অপরদিকে আলিফ, মারুফ, সুমন ও আকলিমা এ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের অব্যাহতির আবেদন করায় আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গত বছরের ২০ জুলাই সকালে ছেলেধরা সন্দেহে উত্তর বাড্ডা সরকা‌রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেনুকে বেধরক পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন নিহত রেনুর ভাগ্নে নাসির উদ্দিন।

রেনু হত্যা মামলাটি তদন্ত করছিলেন বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক। পরে গত বছরের ন‌ভেম্ব‌রে মামলা‌টির তদন্তভার ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ১০ মাসের মধ্যে অভিযোগপত্র দিল সংস্থাটি।

নিহত রেনুর স্বজনদের দাবি, মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাবে বলে খোঁজ নিতে বাড্ডার একটি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু এবং সেখানে গণপিটুনির শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে তখন আটকও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নিহত রেনুর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে তুবা ও মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। ঘটনার দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাহসিন নামে ১১ বছরের এক ছেলেও রয়েছে নিহত রেনুর।

বালাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২১
কেআই/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।