রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্ত্রী ও পাঁচমাসের শিশুকন্যাকে টাকার জন্য হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে মাদকাসক্ত স্বামী ফিরোজ মণ্ডল।
বুধবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতার তিন আসামিকে আদালতে তোলে পুঠিয়া থানা পুলিশ।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) খালেদুর রহমান রাতে জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তবে এই হত্যাকাণ্ডে ফিরোজের বাবা অর্থাৎ পলির শ্বশুর ও শাশুড়ির কোনো সহযোগিতা ছিল কিনা সে ব্যাপারে জানাতে চাননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মূলত টাকা-পয়সার জন্য স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছিল ফিরোজ, আদালতে এমন জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। এর চেয়ে বেশি কিছু আপাতত বলা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন- পুঠিয়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, জবানবন্দি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার (৪ জানুয়ারি) দিনগত রাতে রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার গোপালহাটি ফকিরপাড়া মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পলি খাতুন (২০) এবং তার পাঁচ মাস বয়সী শিশুকন্যা ফরিহা। পলির স্বামী ফিরোজ মণ্ডল তাদের বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর সোমবার রাতেই ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় গাবতলী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) খালেদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার মরদেহ দুটি উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়।
এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দাফনকাজ শেষ করে রাতে তারা থানায় মামলা করেছেন। এতে ফিরোজ ছাড়াও তার বাবা-মাকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- নিহত গৃহবধূ পলি খাতুনের স্বামী ফিরোজ মণ্ডল (৩০), শ্বশুর হাসিব মণ্ডল (৫৫) ও শাশুড়ি চায়না বেগম (৪৫)।
পরে অভিযান চালিয়ে ফিরোজের বাবা-মাকেও গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে আসামিদের আদালতে তোলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
এসএস/এইচএডি