ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট গ্রহণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট গ্রহণ

সিলেট: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিতুল হক অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি শেষে তা গ্রহণ করেন।

এরআগে ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর কথা থাকলেও বাদী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কগনিজেন্স (আমল গ্রহণ) শুনানির দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার।  

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাদী পক্ষের আপত্তি না থাকায় আদালত অভিযোগপত্রটি আমলে নিয়েছেন। পরবর্তী ধার্য তারিখে মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হবে। তবে তাৎক্ষণিক পরবর্তী দিন ধার্য করেননি আদালতের বিচারক।

তিনি বলেন, এরআগে ১০ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠন হওয়ার কথা থাকলেও আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমলগ্রহণ শুনানির ধার্য তারিখ ছিল মঙ্গলবার। এরপর ওইদিনই অভিযোগপত্রের ছায়াকপি (নকল) হাতে পেয়ে পর্যালোচনা করি। পুলিশের পক্ষ থেকে ‍নির্ভুল চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বাদী পক্ষও সন্তুষ্ট, ফলে নারাজি দিতে হয়নি। সুন্দর, পরিচ্ছন্ন একটি চার্জশিট দেওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।  

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।  

এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয় সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে। আর ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়  অপর আসামি রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন।

এরপর গত ৩ জানুয়ারি আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে চার্জগঠনের তারিখ ধার্য হয় ১০ জানুয়ারি। ওইদিন অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি থাকলেও বাদী পক্ষের আইনজীবী আমলগ্রহণ  (কগনিজেন্স) শুনানির জন্য সময় প্রার্থনা করেন। মঙ্গলবার ছিল শুনানির ধার্য তারিখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।