ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নাজিরপুরে স্কুলশিক্ষক হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
নাজিরপুরে স্কুলশিক্ষক হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় স্কুলশিক্ষক সমীরণ মজুমদার (৩০) হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা দায়রা জজ মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।

 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারী গ্রামের চিত্তরঞ্জন রায়ের ছেলে দীপঙ্কর রায় (৩০), একই গ্রামের মৃত দ্বীন মোহাম্মাদ শেখের ছেলে নুর ইসলাম ওরফে নুরু শেখ (৩০) ও বজলুর রহমান শেখের ছেলে খোকন শেখ (২৪)। একইসঙ্গে প্রত্যেককে আরও এক লাখ টাকা করে জরিমানার করা হয়।  

এছাড়া নিহত সমীরণের স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে ওই তিনজনের প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।  

মামলার প্রধান আসামি দীপঙ্কর রায় পলাতক। তিনি ছাড়া বাকি দুই আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।   

এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. আলাউদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সমীরণ মজুমদার উপজেলার ৯ নম্বর পশ্চিম বানিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা সিঁধ কেটে তার ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় ঠেকাতে গেলে সমীরণের স্ত্রী স্বপ্না বসুকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় স্বপ্না বসু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সেই সময়ের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর রায় ও মো. খোকনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাজিরপুর থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান তদন্ত করে মোট আটজন- নুরুল ইসলাম শেখ, নাঈম শেখ, শাহজামাল ওরফে জামাল শেখ, সুমন শেখ, মিজু হাওলাদার, আতিয়ার শেখের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। কিন্তু ওই বিচারক না থাকায় শুনানি শেষে মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন। অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় পাঁচজনকে বেকসুর খালাস ও অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তিনজনকে সাজা দেন আদালত।  

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওবায়দুল কবির বাদল ও মো. দেলোয়ার হোসেন।  

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওবায়দুল কবির বাদল জানান, তারা ন্যায় বিচার পেতে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।