ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গ্রাম পুলিশ নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত, আপিল শুনানি ১৩ জুলাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
গ্রাম পুলিশ নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত, আপিল শুনানি ১৩ জুলাই

ঢাকা: গ্রাম পুলিশের মধ্যে মহল্লাদারদের জাতীয় বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেড এবং দফাদারদের ১৯তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন (লিভ টু আপিল) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন।

এছাড়াও আট সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর আপিল শুনানির জন্য ১৩ জুলাই দিন রেখেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ।

আদালতে গ্রাম পুলিশদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব।

গ্রাম পুলিশদের রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।

এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ২০২০ সালের মার্চে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।

ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা লাল মিয়াসহ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদস্যের করা রিটে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

ওই দিন হুমায়ুন কবির বলেছিলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।
 
কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে এক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের ৪র্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত তারা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয় বলে জানান হুমায়ুন কবির পল্লব।
 
তিনি আরও বলেন, একজন ভিক্ষুকও দৈনিক পাঁচশ টাকা আয় করে। কিন্তু একজন গ্রাম পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক মাত্র তিনশ টাকা (!) বেতন পান। আবার তাদেরকে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু বিধিমালায় তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।  
   
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।