ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

মারধর-ধর্ষণচেষ্টা মামলায় পরীমণির নারাজি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২১
মারধর-ধর্ষণচেষ্টা মামলায় পরীমণির নারাজি 

ঢাকা: মারধর ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দিয়েছেন মামলার বাদী চিত্রনায়িকা পরীমণি।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে মামলার চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।

 

শুনানি উপলক্ষে আদালতে উপস্থিত হন পরীমণি। এদিন তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করেন।  

নারাজি শুনানিতে তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তে অনেক বিষয় মিসিং আছে। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই আমরা মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করছি। ’

এরপর বিচারক নারাজির বিষয়ে পরীমণির জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘এ মামলার ভিডিও ফুটেজ নেই। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের চার্জশিটে রাখা হয়নি। দুই জন ম্যাজিস্ট্রেটকেও সাক্ষী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা ভিডিওটি করেছেন এবং ঘটনার সময় যারা ছিলেন তাদের সাক্ষী করা হয়নি। তারা কোথায়? মামলাটা তো একতরফভাবে তদন্ত হয়েছে। এজন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের প্রয়োজন। ’

রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শহিদ হোসেন ঢালী বলেন, ‘মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের তালিকায় রাখা হয়নি। মামলাটি পুনরায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা প্রয়োজন। '

আসামিপক্ষের আইনজীবী কাওসার হোসেন নারাজি আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত হয়েছে। এখন পুনরায় তদন্তের প্রয়োজন নেই। ’

নারাজির বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।

একইদিনে জামিনে থাকা দুই আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি পূর্বশর্তে ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন পান। মামলার অপর আসামি শহিদুল আলম পলাতক।  

চলতি বছর ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ছয় জনের নামে মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

এরপর ৬ সেপ্টেম্বর মামলায় নাসির, অমি এবং শহিদুল আলম নামে আরেক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন।  

এদিকে নাসিরকে গ্রেফতারের সময় অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। এরপর দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।