ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জেমস-মাইলসের মামলা

সিইওসহ বাংলালিংকের চারজনের স্থায়ী জামিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
সিইওসহ বাংলালিংকের চারজনের স্থায়ী জামিন বাংলালিংকের সিইও এরিক অ্যাস

ঢাকা: নগর বাউল খ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মাহফুজ আনাম জেমসের ছয়টি ও জনপ্রিয় ব্যান্ডদল মাইলসের দুটি গান অনুমতি ছাড়া ব্যবহারের অভিযোগে কপিরাইট আইনের দুই মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) চারজন।

তারা হলেন- বাংলালিংকের সিইও এরিক অ্যাস, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নূরুল আলম, চিফ করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অব ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনিক ধর।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৩০ নভেম্বর এই চারজন আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দেন আদালত। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে সোমবার ফের তাদের পক্ষে স্থায়ী জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হলেও আগামী ৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখের আগে উভয়পক্ষকে আপসের চেষ্টা করতে বলেছেন আদালত।

গত ১০ নভেম্বর একই আদালতে তাদের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে দুটি মামলা করেন জেমস ও মাইলস ব্যান্ডের প্রধান গায়ক শাফিন আহমেদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৭ সাল থেকে জেমসের গাওয়া অনেক গান বাণিজ্যিকভাবে বিনা অনুমতিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ১৪ বছর ধরে বিষয়টি সুরাহার জন্য আইনজীবীরা চেষ্টা করে আসছিলেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। প্রথমে মৌখিকভাবে বললেও ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট ‘মাইলস’ তাদের ‘নীলা তুমি’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুটি ওয়েলকাম টিউন ও অন্যান্য জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মুঠোফোন কোম্পানি বাংলালিংককে আইনি নোটিশ দেয়। এ ছাড়া তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গান দুটি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এরপরও বাংলালিংক গান দুটি সরিয়ে নেয়নি।

আর চলতি বছর ১৯ সেপ্টেম্বর জেমস বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালতে আসলে তাকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২১ অক্টোবর জেমস মামলা করতে গুলশান থানায় সিইওসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যান। থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তারা। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
কেআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।