বরিশাল: মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের নামে বরিশালের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইশতাক আহমেদ রুবেল।
তিনি জানান, মামলার আবেদনটি আমলে নিয়েছেন আদালত। তবে, এখনও কোন আদেশ দেননি।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ভার্চ্যুয়াল টকশোর উপস্থাপক নাহিদকেও আসামি করা হয়েছে।
আদালতে মামলা করার সময় বাদী মো. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুল, অ্যাডভোকেট মহসবন মন্টু, অ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন বাচ্চু, অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির মাসুদ, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাড. হারুন অর রশিদসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
বাদী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলালের ভার্চ্যুয়াল টকশোতে অংশ নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল বক্তব্য দিয়েছেন। তাই তিনি মামলাটি দায়ের করলেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করলেও কোনও আদেশ দেননি। পরে আদালত এ ব্যাপারে আদেশ দেবেন।
সম্প্রতি ভার্চ্যুয়াল একটি টকশোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। এছাড়া তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে। এছাড়া ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় নানা সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. মুরাদ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। একইসঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এমএস/এএটি