ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বীকে মারধরের ঘটনায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দুই নেত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক এ পরোয়ানা জারি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল জাহিদ ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া পাঁচজন হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশি, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও শামসুন নাহার হল শাখা (মেয়াদোত্তীর্ণ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহ জালাল, মো. এনামুল ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-সম্পাদক শেখ তানসেন।
আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল জাহিদ ভূঁইয়া বলেন, এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত সংস্থা পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তাই আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। আদালত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই সময় তন্বী অভিযোগ করেন, বেনজির হোসেন নিশি ও জেসমিন শান্তা তাকে ফোন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে যেতে বলেন। সেখানে গেলে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তারা মারতে উদ্যত হলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তারা তাকে ধাওয়া করে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে ধরে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। এ সময় দুজন ছেলে তাকে ঘিরে রাখেন।
একপর্যায়ে তন্বী মাটিতে পড়ে গেলে শান্তা পায়ে জোরে চাপ দিয়ে ধরে রাখেন। নিশি এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকেন। গলায় পা দিয়ে চাপ দেওয়ায় গলা দিয়ে রক্তও বেরিয়ে আসে। এছাড়া তার পা-মাথায় আঘাত করেন।
এসব অভিযোগ এনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ফাল্গুনী দাস আদালতে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
কেআই/আরআইএস