ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরীর (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় বনানী থানায় করা হত্যা মামলায় তিন দফা রিমান্ড শেষে স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন মোল্লা তিন দফায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।
গত ১৫ ডিসেম্বর এ আসামির তিন দিন, ১৯ ডিসেম্বর দুই দিন ও ২২ ডিসেম্বর আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান এলমা। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। তবে এলমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এলমাকে প্রথমে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় এলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আমিন ও শাশুড়ি শিরিন আমিনকে আসামি করা হয়। এলমার স্বামী কানাডায় থাকতেন। ঘটনার কয়েকদিন আগে তিনি ঢাকায় আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
কেআই/আরবি