ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অভিযান-১০ লঞ্চের দুই চালক কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২২
অভিযান-১০ লঞ্চের দুই চালক কারাগারে

ঢাকা: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত দুই চালকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (০২ জানুয়ারি) নৌ-আদালতের বিচারক জয়নব বেগম এ আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো দুই চালক হলেন—লঞ্চের ইনচার্জ ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ ও সেকেন্ড ড্রাইভার আবুল কালাম। রোববার দুজনই নৌ-আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তারা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাধ্যমতো চেষ্টা করেও সফল হননি। এতে তাদের অবহেলা ছিল না। তাই তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন। তিনি আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ইঞ্জিনরুমের সার্বিক দায়িত্ব ইঞ্জিন ড্রাইভারদের ওপর বর্তায়। তারা কেবল দায়িত্বে অবহেলাই করেননি, অগ্নিকাণ্ডের পর তাদের ভূমিকা ছিল ধৃষ্টতাপূর্ণ ও পলায়নপর।

তিনি আরও বলেন, ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তারা যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তদারকি করে সঠিকভাবে ইঞ্জিনরুম পরিচালনা করতেন তাহলে হয়তো স্মরণকালের এই ভয়াবহ ট্রাজেডি এড়ানো যেত। কিন্তু তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে নৌ-আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত সপ্তাহে লঞ্চের দুই মাস্টার আত্মসমর্পণ করার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও নিহতের ঘটনায় লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা হলেন—ওই জাহাজের ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ, সেকেন্ড মাস্টার খলিলুর রহমান, সেকেন্ড ড্রাইভার আবুল কালাম, শামীম আহাম্মেদ, রাসেল আহম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি। দুজন চালক ও দুজন মাস্টার ছাড়া বাকিরা নৌযানটির মালিক।

এদিন নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধিত ২০০৫) এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এসব ধারায় আসামিদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।