ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হলি ফ্যামিলির সেই চিকিৎসকের জামিন নামঞ্জুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২২
হলি ফ্যামিলির সেই চিকিৎসকের জামিন নামঞ্জুর

ঢাকা: রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যাপক ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

আসামিপক্ষে ঢাকা বারের সভাপতি আবদুল বাতেন ও বিলাসী সরকার জামিন শুনানি করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, ‘মামলার বিষয়বস্তুর সাথে ডা. সালাউদ্দিন মোটেও জড়িত না। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি একজন ডাক্তার। হলি ফ্যামিলির রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজে ফার্মাকোলজি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ১২ বছর সুনামের সাথে শিক্ষকতা করছেন। তিনি বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক। জামিন দিলে পলাতক হবেন না। ’

রাষ্ট্রপক্ষে রমনা থানার (নারী-শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মকবুলুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন বলে জানান মকবুলুর রহমান।

গত ২৯ অক্টোবর ডা. সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরদিন পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৮ ডিসেম্বর রমনা থানায় ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মেসেঞ্জারে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় এক শিক্ষাবর্ষে অনেক বছর আটকে রাখার হুমকি দেন সালাউদ্দিন চৌধুরী। এরপর কলেজে বিভিন্নভাবে ডেকে তার দেওয়া মেসেজ ফোন থেকে মুছে ফেলতে এবং তার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করতে বলেন।

এর আগে ওই শিক্ষক কলেজে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে দুই দফায় ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন, কিন্তু পড়াননি। পড়ার জন্য বারবার তার বাসায় যেতে বলেন। কিন্তু ওই ছাত্রী বাসায় যেতে রাজি হননি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। লোকলজ্জায় এতদিন কিছু না বললেও দিন দিন একাডেমিক লাইফ চরম হুমকির মুখে পড়ে। ডা. সালাহউদ্দিন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ওই ছাত্রীকে ভয় দেখান।

এসব অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী প্রথমে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ২৮ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।