ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

কোচিং সেন্টারে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষক কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২
কোচিং সেন্টারে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষক কারাগারে প্রতীকী

ঢাকা: রাজধানীর মৌচাক ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় কাজী জামাল উদ্দিন আহম্মেদ নামে এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিরা আরা এ আদেশ দেন।

ওই শিক্ষককে গত ৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম শফিক আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, তদন্তে জানা যায় এ আসামির স্বভাব-চরিত্র ভালো না। সে বিকৃত মনের অধিকারী। কোচিং সেন্টার দিয়ে সরলমনা অপ্রাপ্ত কিশোরী মেয়েদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে আসছিল। গ্রেফতারের পর আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জামিনের বিরোধিতা করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রমনা মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (নারী-শিশু) পুলিশের উপপরিদর্শক মকবুলুর রহমান এ তথ্য জানান।

জানা যায়, শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় একজন কলার ঢাকার মৌচাক মার্কেট এলাকা থেকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন। তিনি জানান, তার এগার বছর বয়সী মেয়ে মৌচাক মার্কেটের কাছে ‘ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টার’ নামে একটি আবাসিক কোচিংয়ের শিক্ষার্থী। গত বছরের ডিসেম্বরে তার মেয়েকে তিনি সেখানে ভর্তি করান।

কয়েকদিন আগে মেয়েটি আবাসিক ওই কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফেরে। তবে এরপর আর সে কোচিং সেন্টারে যেতে চায় না। কোচিংয়ের কথা বললেই সে কান্নাকাটি করে। পরে মেয়েটি তার মাকে যৌন হয়রানির কথা জানায়।

শিক্ষার্থীর মা অন্য কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন। তারাও কোচিং সেন্টারটির হেড টিচারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির কথা বলেন। আরও কয়েকজন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে তিনি জানতে পারেন।

এরপর ওই অভিভাবক আরও কয়েকজন অভিভাবকসহ শনিবার বিকেলে মৌচাক কোচিং সেন্টারে অবস্থান করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনি সহায়তা চান। পরে রমনা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর বাবা মামলা করেন।

আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন, কোচিং সেন্টারে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

বাংলাদেশ সময়: ৩০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।