ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ-খুন: গ্রেফতারদের আরও ৩ দিনের রিমান্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ-খুন: গ্রেফতারদের আরও ৩ দিনের রিমান্ড

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫)  গণধর্ষণ করে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরো করে গুমের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার তিনজনের ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে জগন্নাথপুর আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন- জিতেশ চন্দ্র গোপ ও তার দুই বন্ধু অনজিৎ গোপ এবং অসিত গোপ।

এ তথ্য বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট রুহুল তুহিন।

এর আগে, ওই তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের আটদিন করে রিমান্ড প্রার্থনা করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক লিটন দেওয়ান। রিমান্ড শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেক আসামিকে আরও তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তিন আসামিকে সিআইডি তাদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানান তিনি।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে জগন্নাথপুরের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ  খাওয়ানো হয়। পরে ফার্মেসির ভেতর তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করার কথা বলায় শ্বাসরোধে শাহনাজকে হত্যা পর মরদেহ ছয় টুকরো করা হয়। পরে মরদেহ গুমেরও পরিকল্পনা করে ধর্ষকরা। ঢাকা ও সুনামগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জ্যোৎস্নাকে হত্যার মূল তিন আসামিকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানতে পারে সিআইডি।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটের তালাবদ্ধ অভি মেডিক্যাল হল থেকে শাহনাজ জ্যোৎস্নার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

জ্যোৎস্নার ভাই হেলালউদ্দিন বাদী হয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৩ সাল থেকে পৌর শহরের নিজ মালিকানাধীন বাসায় দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন জ্যোৎস্না। তার স্বামী ছরকু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে চাকরি করেন।

পরিবারের সব সদস্যদের ওষুধ ‘অভি মেডিক্যাল হল’ নামে ফার্মেসি থেকে কেনার সুবাদে জিতেশের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জ্যোৎস্না কিছুদিন ধরে বেশ কিছু গোপনীয় শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ সমস্যার সমাধানে সুপরামর্শের জন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জিতেশের ফার্মেসিতে গেলে ফার্মেসির ভেতরে প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষে তাকে বসিয়ে রাখা হয়।

ক্রেতাদের ভিড় কমলে তার সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক ওষুধ তাকে দেওয়া হবে বলে সময়ক্ষেপণ করে। পরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জিতেশ ও তার বন্ধুরা জ্যোস্নাকে গণধর্ষণ চালায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।