ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় ইউপি সদস্যকে হয়রানির অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২২
ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় ইউপি সদস্যকে হয়রানির অভিযোগ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের জন্য ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার অভিযোগ উঠেছে।  

এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও তা গ্রহণ করেনি পুলিশ।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নুরে আলম মণ্ডল নুহুর বিরুদ্ধে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানো হয় ভুঞাপুর থানায়।  

তবে ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম।

ভুঞাপুর থানায় পাঠানো পরোয়ানায় জানা যায়, চলতি মাসের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১(৯) ধারার ১১১/২০২১ এ মামলা হয়। মামলা নং ১১০(৯)২০। এ মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানার স্মারক নং ১৮৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ইস্যু হয়। পরে ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভুঞাপুর থানায় পৌঁছায়। এরপর পুলিশ নুরে আলমকে গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। পরে নুরে আলম কোনো অপরাধী নন- এ চ্যালেঞ্জ করে গ্রেফতারি পরোয়ানার ফটোকপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত ও থানায় যোগাযোগ করেন। পরে তাকে জানানো হয়, এটি ভুয়া ও ষড়যন্ত্রমূলক।

অপরদিকে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা সঠিক নয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম।

নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরে আলম মণ্ডল নুহু বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে কিছুই জানি না। পরে এটি যাচাই করার জন্য ঢাকার আদালতে এবং সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এটা ভুয়া পরোয়ানা ছিল। ভুয়া জানার পর ভুঞাপুর থানায় এ নিয়ে জিডি করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে টাঙ্গাইল আদালতে এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়ে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।

ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তিনি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এ থানায় যোগদান করেছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানাটি অফিসিয়ালভাবে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থানায় এসেছে। এরপরই তৎকালীন ওসি যাচাই বাছাইয়ের জন্য তদন্ত করতে দিয়েছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানাটি ভুয়া নাকি সঠিক- তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে এ পরোয়ানা তামিলের জন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।