ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অর্থ আত্মসাতের মামলায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে  চার্জশিট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
অর্থ আত্মসাতের মামলায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে  চার্জশিট

নীলফামারী: প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।  

জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা গাউসুল আযম ফারুকী ২০১৯ সালে তার নির্মাণাধীন ছয়তলা ভবনের লিফট স্থাপনের জন্য নতুনভাবে একটি নকশা নিয়ে সৈয়দপুর পৌরসভায় গেলে কাউন্সিলরদের সঙ্গে গাউসুল আযম ফারুকীর মামলার জের ধরে নকশা অনুমোদন দেননি পৌরসভার তৎকালীন মেয়র।

এ বিষয়ে ফারুকী হাইকোর্টের স্মরণাপন্ন হলে হাইকোর্ট নকশা অনুমোদন দিতে তৎকালীন মেয়রকে আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পরও তৎকালীন মেয়র নকশা অনুমোদন না দিয়ে সময় ক্ষেপন করেন। এর মধ্যে ২০২০ সালে সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে মেয়র পদে রাফিকা আকতার জাহান নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান। রাফিকা আকতার পূর্ব পরিচয় থাকায় ফারুকীকে জানান, নির্বাচনে তিনি শতভাগ জয়লাভ করবেন। নির্বাচনে জিতে ফারুকীর বাড়ির লিফটের নকশা অনুমোদন করে দেবেন। হাইকোর্টে যেতে হবে না। এভাবে তিনি নকশা অনুমোদন করে দেওয়ার কথা দিয়ে নির্বাচনের আগেই এক লাখ টাকার চেক নেন এবং ব্যাংক থেকে চেকের টাকা তোলেন। কিন্তু মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরও রাফিকা আকতার ওিই নকশা অনুমোদন না দিয়ে দিনের পর দিন বিভিন্ন রকম তালবাহানা ও হয়রানি করতে থাকেন এবং আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন। এতে রাজি না হলে তিনি ফারুকীকে আবার হয়রানি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ফারুকী মেয়রের কাছে টাকা ফেরত চাইলে মেয়র টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। নিরুপায় হয়ে ফারুকী মেয়রের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সৈয়দপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- পি ১০৬/২০২১, তাং- ২০/০৯/২০২১ইং। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে অধিকতর তদন্তের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে আদেশ দেন। সিআইডি নীলফামারীর পরিদর্শক একেএম খন্দকার মুহিবুল দীর্ঘদিন মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৪০৬/৪২০ ধারায় অভিযুক্ত করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।  

এ বিষয়ে গাউসুল আযম ফারুকীর জানান, ফৌজদারি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামির মেয়র পদে থাকার কোনো এখতিয়ার নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মেয়রকে বরখাস্ত করার জন্য আবেদন করা হবে। প্রয়োজনে হাইকোর্টে মামলা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।