ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হেফাজতে নির্যাতন: তিন পুলিশের মামলার তদন্তে পিবিআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
হেফাজতে নির্যাতন: তিন পুলিশের মামলার তদন্তে পিবিআই

ঢাকা: হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে কোতয়ালী থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে মামলার বাদী রাজিব কর রাজুর সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেন।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। সোমবার (১৪ মার্চ) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মামলায় যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন—কোতয়ালী থানার এসআই মিজানুর রহমান ও জলিল এবং এএসআই ফরিদ ভূঁইয়াকে।

গত ২ মার্চ এই তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। রাজিব কর রাজু নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী একই আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরবর্তীতে আদেশ দেবেন বলে জানান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই এসআই মিজান ও এএসআই ফরিদ ভূঁইয়া সাদা পোশাকে ভিকটিমের ৬৯ নং গোয়ালনগর কোতয়ালীর বাসায় সিলিং ভেঙে প্রবেশ করেন। কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আসামিরা ভিকটিম রাজুকে হাতকড়া পরিয়ে চড়-থাপ্পর মারতে থাকেন।

এ সময় ভিকটিমের বাসা তল্লাশি করে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৮ টাকার স্বর্ণ এবং তার মায়ের চোখ অপারেশন করার ৪১ হাজার ৩০০ টাকা ছাড়াও বাসা থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ কোতয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে আসামিরা তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান। নির্যাতনে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে আসামিরা তাকে আবার থানায় নিয়ে আসেন এবং ৫ লাখ টাকা দিতে বলেন। না হলে অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি বানিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন।

টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আবারও নির্যাতন করেন আসামিরা। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার দুই দফায় দুই লাখ টাকা দেন আসামিদের। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে ভিকটিম প্রায় এক বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে ভিকটিম কোতয়ালী থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে তাকে ঘোরাতে থাকেন। আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে বিচার প্রার্থনা করেন বলে আর্জিতে উল্লেখ করেন ভিকটিম। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নেওয়ায় আদালতে এ মামলা করলেন রাজু কর রাজু।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।