ঢাকা: ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক লাইন ডিরেক্টর মো. আনোয়ারুল ইসলাম খানকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
রায়ে তাকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া আত্মসাৎকৃত ১৯ লাখ ১২ হাজার টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত।
মামলার অপর আসামি মেসার্স বিএইচ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ইমন হাসানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তাকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার আত্মসাৎকৃত ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৩৫০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আনোয়ারুল ইসলাম খানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ইমন খান জামিনে ছিলেন। এদিন তিনি আদালতে হাজির হননি। আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
সরকারি কাজ না করে ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৩২০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুদকের তৎকালীন সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক একেএম বজলুর রশিদ রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের পর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আজিজুল হক ২০১৭ সালের ৭ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অফিসার আবু হানিফ ও সহকারী প্রধান শরিফুল ইসলাম আসামি ছিলেন। চার্জশিটে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
কেআই/কেএআর