ঢাকা: রাজধানীর উত্তর মুগদায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা মায়ের হেফাজতে থাকা জন্মসূত্রে কানাডীয় এক তরুণীকে আগামী রোববার হাইকোর্টে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে তরুণীর অসম্মতিতে তাকে ১০ মাস যাবত আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট । আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাহীনুজ্জামান ও আয়েশা আক্তার।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। এ রিট শুনানির সময় আদালতে কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বাংলাদেশি বাবা মায়ের ওই সন্তানের জন্ম কানাডায়। ১৯ বছরের ওই তরুণী কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১০ মাস আগে তার বাবা মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে তার নানী ও মা সব সময় বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ডফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাই কমিশনকে জানান, তাকে জোর পূর্বক ঘরবন্দী করে রাখার কথা।
ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথাও জানান। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর ওই মেয়ের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট এবং আইন ও সালিস কেন্দ্র হাইকোর্টে রিট করে।
রিটে পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি এবং ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়।
পরে আইনজীবী সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, একজন সাবালিকা নারীকে গত বছরে তার মা নিয়ে আসেন। বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর ১০ মাস আটক রাখা হয়। তার মোবাইল ফোন দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় তাকে হাজিরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আবেদনে চাওয়া হয়েছে তার শিক্ষা জীবন চালিয়ে নিতে তাকে কানাডায় ফিরে যেতে যেন সুযোগ দেওয়া হয়। আদালত আদেশ দিয়েছেন রোববার মেয়েটাকে নিয়ে আসতে। ওইদিন তার বাবা মাকেও আসতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫,২০২২
ইএস/জেডএ