ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে তার পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এই আদেশ দেন।
এদিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে ইশরাককে সিএমএম আদালতের হাজতে রাখা হয়৷ ইশরাকের পক্ষে মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন শুনানি করেন৷
শুনানিতে তারা বলেন, এই মামলায় ইশরাকসহ আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। মামলার ৪২ জন আসামির বাকি সবাই জামিনে আছেন। ইশরাক মামলার পরই হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশ নিম্ন আদালতে অন্তর্বর্তী জামিন নেন। পরবর্তীতে স্থায়ী জামিন বিষয়ে শুনানির দিনে কোভিডের কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, ইশরাক হোসেন জামিনের অপব্যবহার করেননি। কোভিডের বিষয়টি আদালত বিবেচনায় না নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেওয়াটা অন্যায্য হয়েছে।
তিনি অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন। ইতোমধ্যে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সারাদেশে সুনাম অর্জন করেছেন। তাই রাজনৈতিক কারণে তার নামে ওয়ারেন্ট দেওয়া হয়েছে। আমরা তার জামিনের প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদেশের পরপরই ইশরাককে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মতিঝিল এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এই মামলা করে পুলিশ।
ওইদিন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা ১৮ আসনে উপ-নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে মিছিল থেকে সোনালী ব্যাংকের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ।
এরপর ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন ইশরাক। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন তিনি।
মজানগর দায়রা জজ সিএমএম আদালত থেকে নথি তলবপূর্বক জামিনের বিষয়ে ওই বছর ১৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে, সির্ধারিত দিনে ইশরাক আদালতে হাজির হননি৷ তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। বিচারক সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুযায়ী ইশরাককে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২/আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা
কেআই/এএটি