কুষ্টিয়া: ঘুষ গ্রহণের দায়ে মাহমুদ আলম (৪৭) নামের সহকারী স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় পেনাল কোডের ১৬১ ধারায় ঘুষ গ্রহণের অপরাধে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারায় আসামী সহকারী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহমুদ আলমকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় রায় দেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্ত- মাহমুদ আলম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার আব্দুল বারীর ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে চাকরি করেন (বর্তমানে বরখাস্ত)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলম ঠিকাদার খাইরুল আলমের কাছ থেকে পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য ঘুষ গ্রহণ করে। এ সময় দুদক কুষ্টিয়ার একটি দল ঘনাস্থল থেকে তাকে ঘুষের টাকাসহ আটক করে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক মো. আব্দুল গাফ্ফার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর- জিআর-৩১৯১৫। তারিখ ১২/০৮/২০১৫।
জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতে সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কুষ্টিয়ার কৌশুলী অ্যাড. আল-মুজাহিদ হোসেন মিঠু জানান, আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামী মাহমুদদ আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২টি ধারায় যথাক্রমে এক বছর, দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আসামীর বিরুদ্ধে ধার্যকৃত সাজা একযোগে প্রযোজ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
এসআইএস