ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: বিএনপি নেতা মকবুল রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: বিএনপি নেতা মকবুল রিমান্ডে

ঢাকা: রাজধানীর নিউমার্কেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগের  মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ এপ্রিল রাত পৌনে একটা থেকে রাত ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত অজ্ঞাতনামা ৬০০/৭০০ জন ঢাকা কলেজের ছাত্র এবং নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীসহ অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী নিউমার্কেট থানাধীন চন্দ্রিমা মার্কেটের সামনে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেন। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জখম, ভাঙচুর করার অপরাধ করেছেন।

মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, মূল রহস্য উদঘাটন, এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে গ্রেফতার করে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবদেন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আসামি পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাহেল আকরাম সম্রাট, আবুল কালাম আজাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, মকবুল হোসেন নির্দোষ। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির শিকার। তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার বিরুদ্ধে এজাহারে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। রিমান্ড বাতিল চেয়ে তার জামিন প্রার্থণা করছি।

রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মকবুল হোসেনের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ১৮ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।

ডেলিভারিম্যান নাহিদের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মুরসালিনের ভাই বাদী হয়ে আরও একটি হত্যা মামলা করেছেন।

এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে। দুই মামলাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।