কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে আসাদুজ্জামান (৩৯) ওরফে কামাল কবিরাজ নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কামাল মিরপুর উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের আব্দুল হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে পারিবারিক কলহের জেরে নিজেদের বাড়িতে ডলি খাতুনকে (৩০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন তার স্বামী কামাল কবিরাজ। এসময় অচেতন হয়ে পড়লে ডলিকে চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখা হয়। এতে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। ডলি তালবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন। ডলির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তার বাবা একই উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের বহুরুল ইসলামসহ অন্য স্বজনরা তার শ্বশুর বাড়িতে যান এবং পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ডলির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই দিনই নিহতের বাবা বাদী হয়ে ডলির স্বামী কামাল কবিরাজসহ চারজনের নামে হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৬ জুন তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর থানার সেই সময়ের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলিম চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার কামালকে এ দণ্ড দেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এসআই