মেহেরপুর: জামাতার দায়ের করা চেক ডিজঅনারের মামলায় শ্বশুর আনোয়ারুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড ও তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক এইস এম কবির হোসেন এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার জামাতা মামলার বাদী মিজানুর রহমান রানা গাংনী উপজেলার কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে রানা মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান রানা (চেয়ারম্যান) একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়ীক লেনদেনের কারণে শ্বশুরের কাছে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা পাওনা হয় রানার। পরে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য আনোয়ারুল ইসলাম ০৮/০৬/২০২০ তারিখে তার নিজ নামীয় জনতা ব্যাংক লিমিটেড, মেহেরপুর শাখার চলতি হিসাব নং ১৪৬১/৩ একটি চেক দেন জামাতা রানাকে। ০৮/০৬/২০২০ তারিখে নগদায়নের জন্য চেকটি ওই ব্যাংকে দিলে ওই হিসাব নম্বরে টাকা নেই বলে জানিয়ে ডিজঅনার সার্টিফিকেট দেয় ব্যাংক। বিষয়টি তার শ্বশুরকে জানালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে এক সপ্তাহ সময় নেন। এরপর শুরু হয় টালবাহানা। পরে ১১/০৬/২০২০ তারিখে আসামির নামে বিধানমতে ডাকযোগে একটি নোটিশ পাঠান রানা। এছাড়া চেকের টাকা পরিশোধ করে চেকটি ফেরত অথবা বাতিল করার অনুরোধ করে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে ১৪/০৬/২০২০ এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারা মতে লিগ্যাল নোটিশ প্রকাশিত হয়।
কোনো জবাব না দেওয়ায় নেগোশিয়্যাবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট ১৮৮১ এর ১৩৮(১)(খ) ধারায় মামলাটি করেন বাদী রানা। যার সেসন মামলা নম্বর ৮৬/২০ ইং। মামলায় তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।
মামলার বাদী কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা বলেন, এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এ রায়ের মাধ্যমে আদালতে আইন সবার জন্য সমান, তা প্রমাণ হয়েছে।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লভ ভট্টচার্য। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
এসআই