ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ আগস্ট) এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
তবে এদিন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। তাই ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
দুদকের আদালত নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. জুলফিকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করেন। মামলায় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভাইয়ের নামে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া পূর্বাচলের প্লটটি ক্ষমতার এসকে সিনহা প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল থেকে উত্তরার সেক্টর-৪-এ স্থানান্তর করেন। পরবর্তীতে রাজউক থেকে অনুমোদনও করান। আর প্লটের যাবতীয় অর্থ মোট ৭৫ লাখ টাকা নিজেই পরিশোধ করেন। পরে ওই প্লটে ৯তলা ভবন নির্মাণ করেন।
দুদকের অনুসন্ধানকালে প্রকৌশলীর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ভবনের নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। এছাড়া প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউকে পরিশোধ করা হয় ৭৫ লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এস কে সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার ভাই ও নিজের আত্মীয়ের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনো বৈধ উৎস নেই বা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
গত বছর ৯ নভেম্বর চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় পৃথক দুই ধারায় এস কে সিনহাকে ১১ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত ঢাকার একটি আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
কেআই/এমজেএফ