ঢাকা, সোমবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

গাবতলীতে বস্তাবন্দি মরদেহ: একজনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
গাবতলীতে বস্তাবন্দি মরদেহ: একজনের যাবজ্জীবন

ঢাকা: ১০ বছরের বেশি সময় আগে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে রিকশা থেকে কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের মামলায় আসামি মাজেদুল হক মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  
পাশাপাশি মাজেদুলকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

 

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় দেন।

হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টার অপর অভিযাগে তাকে তিন বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

এদিকে মরদেহ গুমে সহায়তার অভিযোগে অপর আসামি নাসিরকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাবিনা আক্তার নামে আরেক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মকবুল হোসেন নামে আরেকজন আসামি বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মানিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামি নাসির পলাতক।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার জানান, খালাসপ্রাপ্ত আসামি সাবিনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে রিকশার ওপর চটের বস্তার ভেতর সন্দেহজনক কিছু আছে জানতে পেরে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় রিকশাচালক সুমন (২৬) জানান, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি বস্তায় চাল ও বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে জানিয়ে রিকশায় তা তুলে দিয়ে সামনে যেতে বলেন। তিনি পেছনে আসছেন বলে জানান। কিছু সময় পর পেছনের ওই লোককে না পেয়ে আশপাশের লোকদের বিষয়টি জানান সুমন।

পুলিশ উপস্থিত লোকজনের সামনে বস্তা খুলে মরদেহ দেখতে পায়। মরদেহের সঙ্গে থাকা মানিব্যাগে ঠিকানা পেয়ে পুলিশ যোগাযোগ করে ভিকটিমকে শনাক্ত করে।

এ ঘটনায় দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান ২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার এসআই মোকাম্মেল হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে ভিকটিম কামরুল হাসানকে ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসায় হত্যা করেন মানিক।

এরপর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। বিচার চলাকালে আদালত মোট ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
কেআই/এএটি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।