ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু

ঢাকা: দোকানের কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এদিন গোল্ডেন মনিরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আর্জি জানায়। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।

২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল মালেক। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলায় ১৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

২০২০ সালের ২১ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার নিজ বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

এছাড়া, তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দু’টি বিলাশবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়, যার প্রতিটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। তার 'অটো কার সিলেকশন' নামের গাড়ির শোরুম থেকে আরও তিনটি অনুমোদনহীন বিলাশবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দু’শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। এর আগেও গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এবং রাজউকের একটি মামলা রয়েছে। মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণের চোরাকারবারি। এ থেকেই মনির পরিচিতি পান 'গোল্ডেন মনির' হিসেবে।

২০২০ সালের ২১ নভেম্বর আটক করার পর র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সে সময় র‌্যাব বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা ও মাদক আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
কেআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।