অর্থঋণ আদালতে ৫ মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মারুফকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, অর্থঋণ আদালতের মামলায় আদালত মহিউদ্দিন মারুফকে ৫ মাসের কারাদণ্ড ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, গত শুক্রবার রাতে নগরের বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকা থেকে অর্থঋণ আদালতের ৫ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মারুফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকলিয়া থানা পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এখনও পর্যন্ত আদালতে জামিন আবেদন করা হয়নি। বর্তমানে ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মারুফ কারাগারে রয়েছেন।
ব্যাংক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স কদর সিন্ডিকেট নামে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম ফরেন এক্সচেঞ্জ কর্পোরেট শাখা থেকে মহিউদ্দিন মারুফ ২০০০ সালে ১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। ঋণটি নিয়মিত পরিশোধ না কয়ায় ২০০৪ সালে অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ২০০৫ সালে ডিক্রি হয়। ডিক্রিকৃত টাকা নির্দেশিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ব্যাংক এ মামলা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসামি মহিউদ্দিন মারুরফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আসামি ঋণ পরিশোধে ব্যবস্থা না নিয়ে ঠিকানা পরির্বতন করে আত্মগোপনে চলে যান। খেলাপি ঋণ আদায়ে জনতা ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কঠোর অবস্থানে থেকে আইনি তৎপরতা চালানোর নির্দেশ থাকায় সংশ্লিষ্ট শাখা গত ৩ জুলাই আসামিদের হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করে আসামিকে দেওয়ানি আটকাদেশ দেওয়ার আবেদন করে। শুনানি শেষে অর্থঋণ আদালত ৫ মাসের সাজা প্রদান ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মহিউদ্দিন মারুফ এবং তার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থঋণ আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।
সম্প্রতি ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ায় জনতা ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার বেশ কয়েকজন ইচ্ছাকৃত খেলাপি গ্রাহক ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়; ১৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২
নিউজ ডেস্ক