ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

২৩ বছর আগে গাজীপুরে এক নারীকে হত্যা, আসামি হাইকোর্টে খালাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
২৩ বছর আগে গাজীপুরে এক নারীকে হত্যা, আসামি হাইকোর্টে খালাস

ঢাকা: গাজীপুরে ২৩ বছর আগে এক নারীকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম ওরফে কালু মিয়াকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে সোমবার রায় দেন বিচারপতি শেখ মো.জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।  

মামলার বিবরণে জানা গেছে, করিমন নেছার সঙ্গে একই এলাকার চাঁন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাঁনপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান ওরফে মনা চৌধুরীর ছেলে আবুল কালাম ওরফে কালু মিয়ার সঙ্গে করিমন নেছার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে কালু মিয়ার চাপে করিমন নেছা ও তার স্বামী চান মিয়া পরস্পরকে তালাক দেন।

এরপর থেকে ভাই সফিজ উদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন করিমন।

১৯৯৯ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বোন রহিমন নেছার বাড়ি থেকে ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন করিমন। ২৫ জানুয়ারি দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে কচুরিপানার নিচে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

 কালু মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ভাই সফিজ উদ্দিন। পরে পুলিশ কালু মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ।

 বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া কালু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
 
পাশাপাশি নাছির উদ্দিনের দুই ছেলে নাজিম উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন এবং কান্দুর আলীর ছেলে ফজলুল হককে খালাস দেন।

 পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামি আপিল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
ইএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।