কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার একটি হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন এবং দুইজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ডসহ জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রায়ে প্রত্যেকের পৃথকভাবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত আলী ওরফে নিয়ত আলী (৭০) ও তার ছেলে আশারত আলী ওরফে নওশেদ (৫০)।
এ মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- একই গ্রামের বাসিন্দা আরজেদ আলীর ছেলে এনামুল (৫০) ও আমির হামজার ছেলে মিন্টু আলী (৩৩)।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১ জুন বিকেল সাড়ে ৩টায় দৌলতপুর উপজেলার সংগ্রামপুর থেকে ইচিমারি গ্রামের মধ্যবর্তী মাঠে প্রতিপক্ষ আসামিরা পরিকল্পিতভাবে উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলামকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেন দৌলতপুর থানায়।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর তারিখে ১৫ জনের বিরুদ্ধে সাইফুল হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক আকিদুল ইসলাম।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় লিয়াকত আলী ওরফে নিয়ত আলী ও তার ছেলে আশারত আলী ওরফে নওশেদকে যাবজ্জীবনসহ পৃথক ভাবে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং এনামুল (৫০) ও মিন্টু আলীকে ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও এক বছর সাজা খাটতে হবে তাদের।
এছাড়া এ মামলায় লিটন, লালচাঁদ ও রুবেলকে পৃথকভাবে তিন বছর সাজার আদেশসহ বাকি আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
আরএ