ঢাকা: মামলার নিষ্পত্তিতে বিলম্ব ও ব্যয় কমাতে এবং অবাধ বিচারিক তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করে টেকসই বিচার প্রতিষ্ঠায় ‘কোর্ট প্রযুক্তি’র ব্যবহার বাড়াতে কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর অনুমোদন সাপেক্ষে চার সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইনকে।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন আপিল বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এম এম মোর্শেদ ও হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার (রিসার্চ ইউনিট) মো. মঈনউদ্দিন কাদির।
আর সদস্য সচিব করা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার (প্রটোকল) মো. আব্দুল মালেককে।
এ কমিটির কার্যক্রম তদারকি করবেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো.গোলাম রব্বানীর সই করা একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
অফিস আদেশে কমিটির কার্যপরিধি সর্ম্পকে বলা হয়েছে-
(ক) সংবিধান, সংবিধিবদ্ধ আইন, ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠিত মূলনীতি ও টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে সহজতর, দ্রুততম ও সাশ্রয়ী বিচারিক সেবা দেxয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা ও অন্তরায়সমূহ চিহ্নিত করে বিচার বিভাগের কাঠামোগত ও পদ্ধতিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত ও বাস্তবায়ন করা।
(খ) সময়ের দাবি ও বাস্তবতার নিরিখে মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তিতে অত্যধিক বিলম্ব ও বিচার প্রক্রিয়ার অপ্রত্যাশিত ব্যয় লাঘবে দেশের আদালত ব্যবস্থায় সময়োপযোগী তথ্য, যোগাযোগ ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পরিচালিত অত্যাধুনিক ‘কোর্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের পথ সুগম করা।
(গ) ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থাসমূহকে আরও উন্নত, সুগম, সুলভ, অবারিত ও বৈষম্যহীন রূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবাধ বিচারিক তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে, নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েবভিত্তিক পরিষেবা ও উদ্ভাবন সমাধানের সাহায্যে দেশের আদালতসমূহে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মানসম্মত ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মধ্যদিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও টেকসই উন্নয়নে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের গৃহীত চলমান কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(ঘ) সুপ্রিম কোর্টের ২০০০ থেকে ২০২০ সালের নথিসমূহ ডিজিটাল আর্কাইভের চলমান কার্যক্রমের তদারকি করা।
(ঙ) সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিভিন্ন শাখা ও সেবা প্রদানের মাধ্যমসমূহ ডিজিটাইজ ও ডিজিটাইজড করা।
(চ) কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতি মাসে অন্তত একবার কমিটির তদারককারী কর্মকর্তাকে অবহিত করা।
(ছ) এসব কাজের বাইরে প্রধান বিচারপতি এ সংক্রান্ত অন্য কোনো নির্দেশনা দিলে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
ইএস/এসআইএস