ঢাকা: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকার তেজগাঁও থানা শাখার সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের বিষয়ে শুনানি ফের পিছিয়েছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাটি শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
গত ১১ অক্টোবর নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর অধীনে এই মামলার আবেদন করেন মিলনের চাচা বি এম অলি উল্লাহ। ওই দিন এ বিষয়ে আংশিক শুনানি হয়। এরপর মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
মামলায় যাদের আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছে তারা হলেন—ঘটনার সময় শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসান, শাহবাগ থানার এসআই সুজন কুমার রায়, এসআই সাইদুর রহমান মুন্সি, এসআই অমল কৃষ্ণ, এসআই শাহরিয়ার রেজা, রমনা মডেল থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলামসহ আরও ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সমনে মানবন্ধন শেষে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিল মৎস্যভবনের কাছে পৌঁছালে ভিকটিম জাকির হোসে মিলন সভাপতি, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তেজগাঁও থানা ছাত্রদলসহ কয়েকজনকে রমনা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে এবং পরবর্তীতে শাহবাগ থানায় নিয়ে সেখানেও অমানুষিক ও বর্বরোচিত নির্যাতন করা হয়।
গত ৮ মার্চ তারিখে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে আবারো অমানুষিক নির্যাতন করে। এরপর গুরুতর অবস্থায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই মারা যান মিলন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
কেআই/এমজেএফ