ঢাকা: কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিবিজড়িত ধানসিঁড়ি নদীর প্রস্থ কমিয়ে ঝালকাঠির রাজাপুরে নদী খননের নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ধানসিঁড়ি নদীর রাজাপুরের অংশে আর যাতে মাটি ভরাট ও বাঁধ নির্মাণ না করা হয় তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রোববার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এছাড়া আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সিএস ও আরএস জরিপ করে নদীর সীমানা নির্ধারণের পাশাপাশি নদী দখলকারীদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
রুলে ধানসিঁড়ি নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনিক নিষ্ক্রীয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের নির্দেশ ও প্রকৃত সীমানা অনুসারে ধানসিড়ি নদী খননের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদফতর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, ভূমি কর্মকর্তা ও রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে জনস্বার্থে ২৫ অক্টোবর এ রিট আবেদনটি করা হয়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, চোখের সামনে ধানসিঁড়ি ভরাট দখল হলেও তারা চোখ মুদে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শুধু তাই নয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা প্রশস্ত ধানসিঁড়ির প্রস্থ কমিয়ে খননের ব্যবস্থা করে অবৈধ দখলকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে। তাদের এ কর্মকাণ্ড পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, জলাধার সংরক্ষণ আইন, সংবিধান এবং সরকারি নীতির পরিপন্থি।
বাংলাদেশ সময়:১৫১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০,২০২২
ইএস/এসএ